রূপপুর রেলওয়ে স্টেশনে উদ্বোধনের ২০ মাস পর প্রথম বারের মতো এলো যাত্রীবাহী ট্রেন
স্টাফ রিপোর্টার।। ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের রূপপুর রেলওয়ে স্টেশন উদ্বোধনের ২০ মাস পর প্রথমবারের মতো এলো যাত্রীবাহী ট্রেন। ২৮ অক্টোবর (সোমবার) সকালে ৯০০ যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি রূপপুর প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করে। ঈশ্বরদী কমিউটার নামের এ ট্রেনটি রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে রূপপুর স্টেশনে রিজারভিশনে (রিজার্ভ) এসেছিল। এটি শিক্ষা সফরের জন্য রিজার্ভ নিয়েছিল রাজশাহীর বাংলাদেশ পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট নামে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠান।
জানা যায়, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ফুয়েল ও মালপত্র প্রকল্পের অভ্যন্তরে পৌঁছাতে ৩৩৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা ব্যয়ে রূপপুর রেলওয়ে স্টেশন ও ঈশ্বরদী-রূপপুর রেলপথ নির্মাণ করা হয়। ২০১৮ সালের এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত এ রুটের নির্মাণ কাজ চলে। পরে ২০২৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি এ লাইন উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের ২০ মাস পেরিয়ে গেলেও আজও পর্যন্ত এ স্টেশনে কোনো পণ্য পরিবহন হয়নি। চলাচল করেনি যাত্রাবাহী কোনো ট্রেন। ফলে ৩৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ রেলপথে প্রায় দুই বছরে আয় হয়নি এক টাকাও।
পাকশীর বাসিন্দা আরিফুল আজাদ বলেন, এ স্টেশন কোনো কাজেই আসছে না। অথচ বিশাল অংকের টাকা বিনিযোগ করে সরকার অপ্রয়োজনে এ রেলপথ ও স্টেশন নির্মাণ করেছে। এটি সরকারের অলাভজনক একটি প্রকল্প।
রাজশাহীর বাংলাদেশ পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক সৈয়দ আহমেদ জাকি বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, হার্ডিঞ্জ ব্রিজসহ আশপাশের সৌন্দর্য উপভোগের জন্য শিক্ষাসফরের আয়োজন করা হয় রূপপুর রেলওয়ে স্টেশনে। পদ্মা নদীর তীরে এ স্টেশনে কোন ট্রেন চলাচল না করায় নিরিবিলি পরিবেশ ও সৌন্দর্য মুগ্ধ করেছিল। সেজন্য রেল কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে এখানে শিক্ষাসফরের আয়োজন করি।
পাকশী বিভাগীয় সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকর্তা এ কে এম নূরুল আলম বলেন, ঈশ্বরদী-রহনপুরের মধ্যে চলাচলকারী ‘কমিউটার ট্রেন’ সোমবার সাপ্তাহিক ছুটি ছিল। ওই দিন এ ট্রেন শিক্ষাসফরের জন্য রাজশাহী স্টেশন থেকে রূপপুর পর্যন্ত রিজারভিশন নিয়েছিল রাজশাহীর বাংলাদেশ পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট। ৭ বগির এ ট্রেনে যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ৬৫০ জন। এ ট্রেনে রিজারভিশনে রেলওয়ের রাজস্ব আয় হয়েছে ১ লাখ ৯৪ হাজার ৫৭৫ টাকা।