মতবিনিময় সভায় বিভাগীয় কমিশনার-খোন্দকার আজিম আহমেদ
—————————————-
ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণেই ঈশ্বরদীতে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা জরুরি প্রয়োজন
এম এন সরদার।। রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ বলেছেন, ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণেই ঈশ্বরদীতে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা জরুরী হয়ে পড়েছে। শনিবার(১৭ মে’২৫) দুপুরে ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের পতিরাজপুর গ্রামের জোয়ার্দ্দার মৎস্য খামারে বাংলাদেশ কৃষক সমিতি আয়োজিত মতবিমিয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন , কৃষকদের স্বাস্থের ক্ষতি খাদ্য উৎপাদনে বিরুপ প্রভাব পড়বে। এজন্য কৃষককের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। কৃষকদের বাণিজ্যিকভাবে কৃষি কাজের জন্য সহজশর্তে চাহিদা অনুযায়ী ঋণ দিতে হবে। কারণ চাহিদা অনুযায়ী ঋণ না পেলে বাণিজ্যিকভাবে কৃষি কাজ করা সম্ভব হয় না। ভৌগলিক অবস্হানগত কারনে ঈশ্বরদী মাটি কৃষি ক্ষেত্রে যথেষ্ট উর্বর উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঈশ্বরদীতে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা জরুরী হয়ে পড়েছে । সেই লক্ষ্যে তিনি কাজ করছেন বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন, ইতিমধ্যেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিভাগ ও বিভিন্ন ব্যাংকের সাথে আলাপ-আলোচনা করা হয়েছে। তারা ঈশ্বরদীতে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে সহযোগীতার আশ্বাস দিয়েছেন। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য জায়গার বিষয়ে দুঃচিন্তার কারণ নেই, ঈশ্বরদীতে অবস্থিত বিএসআরআই ও কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের অভ্যন্তরেও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব বলে তিনি মন্তব্য করেন।
পাবনা জেলা প্রশাসক মোঃ মফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান, পাবনা পুলিশ সুপার মোঃ মোরতোজা আলী খাঁন, রাজশাহীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ড. হাবিবুর রহমান, জার্মান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অনুষদের ডীন ড. মোঃ মনোয়ারুল হক, পজেটিভ প্লাস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ডাঃ হোসাইন মোঃ আল-আমিন, ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবীর কুমার দাশ, ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রনব কুমার, ঈশ্বরদী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ শাহাদাত হোসেন খাঁন, ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ শহীদুল ইসলাম শহীদ ।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষক সমিতি ঈশ্বরদী উপজেলা শাখার সভাপতি ও রাষ্ট্রীয় পদকপ্রাপ্ত কৃষক আলহাজ্ব শাহজাহান আলী বাদশা। বক্তব্য দেন জাতীয় পদকপ্রাপ্ত কৃষক সিদ্দিকুর রহমান ময়েজ, আবু তালেব জোয়ার্দ্দার, বেলী বেগম প্রমূখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জাতীয় পদকপ্রাপ্ত লিচু চাষী মোঃ আব্দুল জলিল কিতাব মন্ডল। এর আগে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ফ্রী মেডিক্যাল ক্যাম্প উদ্ভোদন করেন। প্রায় ১ হাজার ৫ শত অসহায় মানুষ স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে কয়েক হাজার কৃষক ও কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন বলে আয়োজকেরা দাবী করেছেন।