বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা মামলায় আ.লীগ নেতা আতম শহীদুজ্জামান নাছিম গ্রেফতার
স্টাফ রিপোর্টার।। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা, ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সদস্য, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আন্তর্জাতিক আদালতে দায়ের করা মানবতা বিরোধী মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য, পাবনা জেলা জামায়াত নেতা মাওলানা আব্দুস সোবহান এর বিরুদ্ধে দেয়া প্রধান সাক্ষী আ ত ম শহীদুজ্জামান নাসিমকে গ্রেফতার করেছে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ।
গত ১৪ আগষ্ট’২৫ রাতে তাকে শহরের শের শাহ রোড বেলতলা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ আ স ম আবদুন নুর বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা নাছিম ঈশ্বরদীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হামলায় জড়িত ছিলেন। ওই ঘটনায় দায়ের মামলা তদন্ত করে তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৫ আগষ্ট’২৫) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, মাওলানা আবদুস সোবহান ছিলেন পাবনা-৫ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির। জনপ্রিয় ও প্রভাবশালী এই নেতাকে ২০১২ সালে গ্রেফতার করে একটি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। প্রথমে পাবনার স্থানীয় একটি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার দেখানো হয়। পরে তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়। সেই থেকে জেলখানায় বন্দি ছিলেন এই জামায়াত নেতা। ২০১৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার ক্যাঙ্গারু কোর্টে আবদুস সোবহানকে আজীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। সেই সাজা নিয়ে ২০২০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি কারাগারেই তিনি মৃত্যু বরন করেন।
এ বিষয়ে মাওলানা আবদুস সোবহানের ছেলে নেছার আহমেদ নান্নু বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আমার বাবার বিরুদ্ধে মামলার ১ নম্বর সাক্ষী ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা নাসিম। তিনি আদালতে মিথ্যা সাক্ষী দিয়ে আমার বাবাকে আজীবন কারাদণ্ডাদেশ দিতে আদালতকে সহায়তা করেন। তার গ্রেপ্তারের খবরে এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে ।
পাবনা জেলা জামায়াতের আমির ও ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা নাসিম একজন দুর্বৃত্ত। আপদমস্তক অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িত তিনি।
ঈশ্বরদী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ও মানবাধিকার সংস্থার উভয় দায়িত্বে থাকাকালীন আর্থিক অনিয়ম ও শৃংখলা পরিপন্থী কাজের জন্য তাকে বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া তিনি মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের ঈশ্বরদী শাখার ম্যানেজারের দায়িত্ব পালনকালেও আর্থিক অনিয়মের কারণে গ্রেপ্তার হয়ে অনেকদিন কারাগারে ছিলেন।