বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টু, শামসুদ্দিন মালিথা ও সেচ্ছাসেবক দলের নেতা মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে ঈশ্বরদীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত।।
এস এম রাজা।। ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, পাবনা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-৪ আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার ট্রেন বহরে হামলা মামলায় মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্ত হয়ে ফাঁসির মঞ্চ থেকে ফিরে আসা জননেতা মোঃ জাকারিয়া পিন্টু এবং ঈশ্বরদী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, পাবনা জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুদ্দিন আহমেদ মালিথা ও ঈশ্বরদী পৌর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ঈশ্বরদী উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্য সচিব মেহেদী হাসান’র বিরুদ্ধে ঢাকায় গত ১ আগস্ট’২৫ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অপপ্রচারের প্রতিবাদে আজ ৩ আগস্ট’২৫ সকালে ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে জাকারিয়া পিন্টুর পক্ষে লিখিত বক্তব্যে বিএনপি নেতা শামসুদ্দিন আহমেদ মালিথা ও যুবদল ঈশ্বরদী পৌর শাখার আহবায়ক জাকির হোসেন জুয়েল কথিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোসর বিতর্কিত জুবায়ের হোসেন বাপ্পি’র তথাকথিত মিথ্যা ভিত্তিহীন উদ্দেশ্য প্রণোদিত ষড়যন্ত্র মূলক মানহানিকর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। সেই সাথে তথাকথিত সংবাদ সম্মেলনের পেছনে যারা রয়েছেন তাদের মুখোশ উন্মোচনের জোর দাবি জানান।
শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, গত ৫ আগস্ট’২৪ পরবর্তী ও পূর্ববর্তী সময়ে ঈশ্বরদীতে সুষ্ঠধারার রাজনৈতিক চর্চা বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টুর হাত ধরে শুরু হয়েছিলো। সৌহার্দ্যের এক নতুন অধ্যায় রচনা করেছিলেন বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টু। কিন্তু দূর্ভাগ্যের বিষয় হলো আসন্ন সংসদ নির্বাচনে জাকারিয়া পিন্টু পাবনা-৪ আসনে ধানের শীষের প্রার্থীতা ঘোষণা করলে শুরু হয় যত বিপত্তি।
পাবনা জেলা বিএনপির আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে জাকারিয়া পিন্টুর বিরুদ্ধে একের পর এক নানা রকম ষড়যন্ত্র শুরু করেন। হাবিবুর রহমান হাবিব বিভিন্ন টেলিভিশনের টকশো ও আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা সহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জাকারিয়া পিন্টুর বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যাচার ও কূৎসা রটাতে থাকেন। যা সর্বোমহলই জানেন।
এছাড়াও পদ্মা নদীর জলদস্যু ও নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার হাসানুজ্জামান কাকন বাহিনীর পক্ষ নিয়ে প্রকাশ্যেই পদ্মা নদীর বৈধ তরিয়া মহলের ইজারাদার এটি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী কর্মীবান্ধব নেতা মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন।
তিনি বলেন, পদ্মা নদী ও তীরবর্তী এলাকায় নিষিদ্ধ কাকন বাহিনীর একের পর এক হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনাকে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টায় মত্ত হয়ে উঠেছেন হাবিবুর রহমান হাবিব। তার আরও উৎকৃষ্ট উদাহরণ হলো সম্প্রতি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে কাকন বাহিনীর দুই সন্ত্রাসী, একাধিক অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ টাকা সহ বিভিন্ন নথিপত্র উদ্ধার করা হলে দেশের সব সংবাদ মাধ্যমে ফলাও করে তা প্রকাশিত হয়। সেই বিষয়টিকেও হাবিবুর রহমান হাবিব টকশোতে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চালিয়ে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন।
শুধু তাই নয় হাবিবুর রহমান হাবিব জাকারিয়া পিন্টুর বিরুদ্ধে অবস্থান নিতেই প্রকাশ্যেই নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে হামলা মামলার অন্যতম আসামি শহিদুল ইসলাম মোল্লার পক্ষও অবলম্বন করেছেন।
শামসুদ্দিন মালিথা দৃঢ়তার সাথে বলেন, কোনভাবেই যখন জাকারিয়া পিন্টুর জনপ্রিয়তা হ্রাস করা যাচ্ছে না তখন দাশুড়িয়ার চিহ্নিত খুনি সন্ত্রাসী শরিফুল ইসলাম তুহিনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে আওয়ামী লীগের দোসর বিতর্কিত জুবায়ের হোসেন বাপ্পিকে সামনে দাঁড় করিয়ে সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যে প্রনোদিত, মানহীনকর তথ্য উপস্থাপন করে সংবাদ সম্মেলনে নাটক মঞ্চস্থ করেছেন। কথিত ওই সংবাদ সম্মেলনে জাকারিয়া পিন্টুকে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী ও বালুমহল দখলকারী উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, শামসুদ্দিন আহমেদ মালিথাকে সন্ত্রাসের গডফাদার বলা হয়েছে। যা শুধু মিথ্যাচারই নয় অপমান জনকও বটে।
তিনি বলেন, বিগত ১৬ বছর কথিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনকারী ঈশ্বরদী শহরের বকুলের মোড় এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে জুবায়ের হোসেন বাপ্পি বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক হয়েছেন। বিগত ১৬ বছর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের অর্থ জোগান দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপরে অত্যাচার নির্যাতন চালিয়েছেন। বিএনপির সাথে যার কোন সম্পর্কই নেই সেই ব্যক্তি বিএনপির দুর্দিনের কান্ডারী জাকারিয়া পিন্টু সহ সিনিয়র ও ত্যাগী নেতাদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে, যা অত্যান্ত দুঃখজনক।
সংবাদ সম্মেলনে হাবিবুর রহমান হাবিব, শরিফুল ইসলাম তুহিন ও সুলভ মালিথাসহ তাদের অনুসারী সন্ত্রাসীদের নানা কুকীর্তি ও চাঁদাবাজির লিখিত ফিরিস্তি উপস্থাপন করা হয়। সেই সাথে বিএনপির হাইব্রিড নেতাদের মুখোশ উন্মোচন ও তাদের শাস্তি দাবি করে সুষ্ঠধারার বিএনপির রাজনীতি প্রত্যাশা করা হয়।
আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা আহসান হাবিব, এস এম ফজলুর রহমান, আতাউর রহমান পাতা, মাহমুদুল হাসান সোনামণি, হুমায়ুন কবির দুলাল, ইসলাম হোসেন জুয়েল, আজিজুর রহমান শাহীন, আক্কাস আলী মেম্বার, আশিকুর রহমান নান্নু, জাহাঙ্গীর হোসেন, মাহমুদুল হাসান জুয়েল সহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের প্রচুর নেতাকর্মী।