#বিদ্যুৎ ও #আপনি
কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানের সময় আপনারা বিরোধিতা করলেন পরিবেশ বিপর্যয়ের কথা বলে।
কুইক রেন্টাল পাওয়ার অনুমোদন এবং নির্মাণের সময় আপনারা বিরোধিতা করলেন বিশাল ভর্তুকির অজুহাতে।
পাবনায় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানের সময় বিরোধীতা করলেন রাশিয়ার চেরনবিল, জাপানের ফুকুশিমা বিপর্যস্ত হওয়ার উদাহরণ টেনে।
ভারতের আদানী গ্রুপ থেকে বিদ্যুৎ আমদানীর বিরোধিতা করলেন দেশ ভারতের করিডোর হওয়ার বনোয়াট গালগল্প বলে।
আপনারা একবারও বলেননি দেশের শতভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে এবং মানুষ বিদ্যুতের সুবিধায় অভ্যস্ত হয়েছে। ব্যাটারী রিকশা ও অটোর চার্জে চলে যাচ্ছে প্রায় ২০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সেটা আপনারা দেখলেন না।
প্রভাবশালী দেশের বিরোধিতার কারনে বেশী মূল্য দিয়েও কয়লা সহ জ্বালানি সংশ্লিষ্ট পণ্য আনা, আনলোড করা থেকে মূল্য পরিশোধ করা পর্যন্ত হিমশিম খাওয়াটা কখনো স্বীকার করলেন না।
শীতাতপনিয়ন্ত্রিত যন্ত্র নগর পেরিয়ে আজ গ্রামেগঞ্জে ছড়িয়ে পড়েছে সেটাও চিন্তা করেন না।
সময়ের সাথে উন্নয়ণ অগ্রযাত্রার কারনে কলকারখানায়,মাঠে ঘাটে,মার্কেট ও ঘরে বিদ্যুৎ ব্যবহারের হার বেড়ে যাওয়াটা আপনারা বলেন না।
অনাবৃষ্টির কারণে কাপ্তাই লেকের পানি কমে যাওয়াতে কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিটের সবকটা প্রায় বন্ধ সেটা আপনারা বলেন না।
রাশিয়া -ইউক্রেনের যুদ্ধের কারনে সারাবিশ্বে তেল,কয়লা,গম,সহ প্রায় সকল জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী সেটা আপনারা বলেন না।
যুদ্ধের কারনে জ্বালানি তেল, কয়লার মূল্য এবং চাহিদা বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে সেটা উল্লেখ করেন না।
অথচ আপনারা চিল্লাইয়া বলেন বিদ্যুৎ গেল কই।
কি সমস্যা আপনাদের ??
এতো বিরোধিতা বিরোধিতা খেলা খেলেন কেন ?
খাদ্য ও জ্বালানি সংকট আজ বৈশ্বিক সংকট এটা আমাদের একার সমস্যা নয়।
বঙ্গবন্ধু তনয়া জননেত্রী শেখ হাসিনার উপর আস্থা রাখুন শীঘ্রই সংকট কেটে যাবে ইনশাআল্লাহ।
করোনার ভয়াবহতা থেকে যেভাবে মানুষকে পরম মমতায় শেখ হাসিনা আগলে রেখেছিলেন বিনা মুল্যে ভ্যাকসিন দিয়ে (বিএনপি-জামাতের ভ্যাকসিন বিরোধীতা স্বত্বেও) ঠিক তেমনি ভাবে বিদ্যুৎ সংকট তিনি সমাধান করবেন।
গুজব ছড়াবেন না এবং গুজবের সুযোগ করে দিবেন না। দেশ এবং দেশের মানুষকে ভালোবাসুন। নতুন প্রজন্মকে দেশাত্মবোধ শিখতে দিন।