পাবনার ঈশ্বরদীতে বাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৫ জনের মধ্যে একই পরিবারের ৩ জনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার (২১ মার্চ) সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার দিয়াড় বাঘইল কেন্দ্রীয় কবরস্থান জামে মসজিদে নিহতদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। শেষ বিদায় জানাতে জানাজায় হাজারো মানুষের ঢল নামে। পরে জানাজা শেষ করে পাশাপাশি তিনটি কবরে দাফন করা হয়েছে বাবা, মা ও ছেলেকে।
পাশাপাশি কবরে শায়িতরা হলেন- উপজেলার বাঘইল গ্রামের একই পরিবারের মৃত বাবু হোসেনের ছেলে রাব্বি হোসেন (৩০), তার স্ত্রী মুক্তা খাতুন (২৭), তাদের ছেলে মুস্তাকিম (২)।
এদিকে সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে যখন নিজ গ্রামে একই পরিবারের তিনজনের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তখন থেকেই গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। একসঙ্গে একই পরিবারের তিনজনের এমন করুণ মৃত্যু স্বজনরা মেনে নিতে পারছিল না।
নিহতের স্বজনরা জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নিহত রাব্বি হোসেন তার স্ত্রী মুক্তা খাতুন ও ছোট্ট ছেলে মুস্তাকিমকে নিয়ে ঈশ্বরদী বাজার থেকে ঈদের কেনাকাটা করে অটোরিকশাযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় অটোরিকশাটি দাশুড়িয়া বহরপুর এলাকা পর্যন্ত পৌঁছালে বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে তারা ৩ জনই ঘটনাস্থলে মারা যান। এ ঘটনায় অন্য এলাকার আরো ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
নিহত রাব্বি হোসেনের ছোট ভাই মো. সায়েম বলেন, আমার ভাই-ভাবী ও ভাতিজা বাজারে শপিং করে বাড়ি ফেরার সময় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে। আমাকে হাসপাতাল থেকে মুঠোফোনে জানানো হলে আমি এসে দেখি তাদের মরদেহ পড়ে রয়েছে। এমন করুণ মৃত্যু যেন আর কোনো পরিবারের না হয়।
এদিকে নিহতদের জানাজায় উপস্থিত হয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব এবং জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল। তারা ওই পরিবারের পাশে থেকে সব ধরনের সহায়তা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানার ওসি শহিদুল ইসলাম শহিদ বলেন, সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের মরদেহ পরিবারের লোকজনের কাছে হস্তান্তর করে দাফনের অনুমতি দিয়েছি।