সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:২৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ ::
ঈশ্বরদীতে নেসকো’র প্রিপেইড মিটার বিরোধী আনন্দোলন তুঙ্গে, দ্রুত সমাধান না হলে সর্বাত্মক হরতাল ও বন্ধের হুমকি জুলাই বিপ্লবের গণহত্যায় শেখ হাসিনা ও কামালের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা  ঈশ্বরদী ইপিজেডে অক্সিজেন সংকটে শতাধিক নারী শ্রমিক অসুস্থ।। গুরুতর অসুস্থ ৩৫ জন হাসপাতালে ভর্তি ঈশ্বরদী পৌরসভায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশক নিধন কার্যক্রম উদ্বোধন পদ্মা নদীর ব্যাপক চরাঞ্চল জুড়ে অপরাধ দমনে শুরু হলো ‘অপারেশন ফার্স্ট লাইট’ ঈশ্বরদীতে প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধ ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা পাবনায় বিসিকের আয়োজনে ৯ দিনব্যাপি উদ্যোক্তা মেলা শুরু জামায়াত রাজনৈতিক ফায়দা হাছিলের চেষ্টা করছে—-হাবিবুর রহমান হাবিব ঈশ্বরদীতে মানববন্ধনে ৩ দিনের মধ্যে বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের সিদ্ধান্ত বাতিল ও মামলা প্রত্যাহার করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি বর্ণাঢ্য আয়োজনে ঈশ্বরদীতে উদযাপন করা হলো প্রথিতযশা সাংবাদিক, কবি ও শিল্পী সূফী সাধক গুরুজী এস এম রাজা’র জন্মদিন, কবিতা পাঠ ও সুরের মেলা

জুলাই বিপ্লবের গণহত্যায় শেখ হাসিনা ও কামালের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা 

ডিডিপি নিউজ ২৪ ডেস্ক
  • প্রকাশিত : সোমবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৫

জুলাই বিপ্লবের গণহত্যায় শেখ হাসিনা ও কামালের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা

ডেস্ক রিপোর্ট।।

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা মামলার রায় ঘোষণা করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ে ২ নম্বর অভিযোগে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড আদেশ দেয়া হয়েছে।

এছাড়া মামলার অপর আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকে মৃত্যুদণ্ড এবং দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়ে ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার পর ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো: গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া শুরু হয়। দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে এ রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল।

বিচারিক প্যানেলের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো: শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো: মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

গণ-অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা এটিই প্রথম মামলা, যার রায় ঘোষণা হলো আজ।

মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে যে পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে সেগুলো হলো:
– উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়া
– হেলিকপ্টার, ড্রোন ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের ‘হত্যা করে নির্মূলের নির্দেশ’ দেয়া
– রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাইদ হত্যার ঘটনায় প্ররোচনা, উসকানি, ষড়যন্ত্র, সহায়তা, সম্পৃক্ততার অভিযোগ
– গত বছরের ৫ আগস্ট রাজধানীর চাঁনখারপুল এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্বারা ছয়জনকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ
– আশুলিয়ায় জীবিত একজনকেসহ মোট ছয়জনকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ।

এই মামলায় আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী, আহত ব্যক্তি ও প্রতক্ষ্যদর্শী, আহতদের চিকিৎসা দানকারী চিকিৎসকসহ মোট ৫৪ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রায়ে বলেছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, তাতে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুনের অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে।

প্রথম পর্যায়ে শুরুতে বিচারক ট্রাইব্যুনালের জুরিসডিকশন, আসামিদের বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগ এবং রোম স্ট্যাটিউট অনুযায়ী সুপিরিয়র কমান্ড রেসপন্সিবিলিটির গ্রাউন্ড আদালতে পড়ে শোনান।

শুরুতেই বিচারপতি মো: গোলাম মর্তূজা মজুমদার জানান যে রায়টি ছয় ভাগে মোট ৪৫৩ পৃষ্ঠার।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষাপট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা এবং পরবর্তীতে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি করে হত্যার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

বিচারকাজ চলার সময় অডিও, ভিডিওসহ যেসব তথ্যউপাত্ত ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করা হয়েছে সেসবও বর্ণনা করেন বিচারক। ঘটনার শিকার ও সাক্ষীরা কী বলেছে তার বর্ণনা দেয়া হয়। ট্রাইব্যুনালে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে বিভিন্ন ভিডিওতে পাওয়া শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধের তথ্য-প্রমাণের বিবরণ দেয়া হয়।

এছাড়া ঢাকার যাত্রাবাড়ী, রামপুরা, বাড্ডা, সাভার, আশুলিয়া, রংপুরসহ বিভিন্ন স্থানে যেভাবে প্রাণঘাতী গুলি ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের হত্যা করা হয়েছে, সেগুলোর ভিডিও ও তথ্যপ্রমাণের বিবরণ দেয়া হয়।

এর আগে আন্দোলনের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রকাশিত রিপোর্টের বিভিন্ন অংশ পড়ে শোনায় ট্রাইব্যুনাল। গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে বিভিন্ন জনের সাথে শেখ হাসিনার টেলিফোনে কথোপকথনগুলো শোনানো হয়। এর মধ্যে ছিল ঢাকা উত্তরের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভিসি অধ্যাপক মাকসুদ কামালের সাথে ফোনালাপ।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Copyright 2020 © All Right Reserved By DDP News24.Com

Developed By Sam IT BD

themesba-lates1749691102
error: Content is protected !!