রাজশাহী অফিস।। চলন্ত আন্তঃনগর সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস ট্রেনে সন্তান প্রসব করেন এক মহিলা। তার সন্তান প্রসবে সহযোগিতা করেন একজন নবীন সার্জন, একজন শিক্ষানবিশ আইনজীবী, গার্ড, টিটি, ক্যারেজ এটেন্ডেন্ট ও সাংবাদিকসহ ট্রেনের যাত্রীরা।
এই রকম মানবিক সহযোগিতাকে উৎসাহিত করতে রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমের জেনারেল ম্যানেজার মিহির কান্তি গুহ তাঁর কনফারেন্স রুমে , চলন্ত ট্রেনে সন্তান প্রসব ঘটনায় সহায়তাকারীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
সংবর্ধনাপ্রাপ্তরা হলেন- ৪২ তম বিসিএস পাশকরা ডা. ফারজানা তাসনীম, পাবনা জজ আদালতের শিক্ষানবীশ আইনজীবী মুক্তা রাণী কর্মকার, ট্রেনটির গার্ড এএম আজিমুল হোসাইন, রুবায়েত হাসান, পরিচর্যক সাব্বির হোসেন ঝলক(ঈশ্বরদী), মুক্তার হোসেন, সহকারী বাবুল খান, টিটি মো. সুমন, সিনিয়র সাংবাদিক সুজাউদ্দিন ছোটন এবং ট্রেনের পরিচ্ছন্নতাকর্মী দীপক। পশ্চিম রেলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মিহির কান্তি গুহ তাঁদের ফুল দিয়ে সংবর্ধনা জানান। এ ছাড়া তাঁদের একটি করে প্রশংসাপত্রও দেওয়া হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, পশ্চিম রেলওয়ে জিএম মিহির কান্তি গুহ, অতিরিক্ত জিএম, সিসিএম, সিপিও, এস ডাব্লু, রেল শ্রমিকলীগ নেতৃবৃন্দ-সহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়া থেকে সন্তান প্রসবের জন্য সাবিনা ইয়াসমিন (২৫) নামের এক নারীকে রাজশাহী আনা হচ্ছিল। নাটোরের আব্দুলপুর ও রাজশাহীর আড়ানীর মাঝামাঝি স্থানে ট্রেনের মধ্যেই ওই নারী একটি সন্তানের জন্ম দেন। ওই নারীর সাথে তার এক বোন ও চাচী ছিলেন। তবে ট্রেনের মধ্যে প্রসব বেদনায় ছটফট শুরু করলে তাঁরা কী করবেন তা বুঝে উঠতে পারছিলেন না। তখন প্রথমেই এগিয়ে আসেন পাশের সিটে বসা মুক্তা রাণী কর্মকার। বাচ্চাটি জন্মের পর এসে নাড়ি কাটেন ডা. ফারজানা তাসনীম। তিনি ৪২ তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও এখনও কোথাও যোগ দেননি।