করোনায় বেকার নৃত্য শিল্পীরা, অনাহারে মৃত্যুর উপক্রম ——–মাজহারুল ইসলাম কান্চন
————————————————————————অতিমারী কোভিডের ভয়াল থাবায় করোনাভাইরাসের একচ্ছত্র আধিপত্যে জনজীবনে অমানিশার কালো অন্ধকার ছেয়ে গেল। সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে নৃত্যসংবলিত জগতের মানুষজন। এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমান সংখ্যায় অঙ্কে প্রকাশ করা সম্ভবপর হয়ে উঠবেনা।
গত দেড়বছরের অধিক সময় বিরাজমান করোনায় যখন সবকিছু লক ডাউনে তখন মাঝেমধ্যে লক ডাউন শিথিল করলে সব কর্মব্যস্ত মানুষ নিজেদের জায়গাতে কিছু না কিছু ইনকাম করে পেটেভাতে বেঁচে আছে৷ কিন্তু একমাত্র শিল্পীগোষ্ঠী র মানুষ জন যারা নাচ টাকেই একমাত্র অবলম্বন ধরে জীবিকা নির্বাহ করে তাদের পরিস্থিতি এতটাই দুঃসহনীয় যে বেঁচে থাকাটাই দায় হয়েছে৷ আমাদের নাচের প্রোগ্রাম সারাবছর জুড়েই থাকে৷ রাষ্ট্রীয় প্রোগ্রাম থেকে শুরু করে দেশীয় আন্তর্জাতিক সহ নানান ক্যাটাগরিতে নৃত্যশিল্পীরা মেতে থাকতো৷ নৃত্যশিল্পী দের পদচারণায় মেতে থাকতো শিল্পকলা, ডান্স ক্লাব, টিভি চ্যানেলের বহুমুখী অনুষ্ঠান৷ তাছাড়া উপজেলা আন্তঃজেলা আঞ্চলিক বিভাগীয় পর্যায়ের কালচারাল প্রোগ্রামে বাচ্চাকাচ্চা থেকে বড় শিল্পী গোষ্ঠীর নাচের প্রতিযোগিতায় মুখর হয়ে উঠতো সব । মিডিয়াতে অভিনয়শিল্পী দের কে ছবিতে নাচের কোরিওগ্রাফি থেকে দেশের বিভিন্ন কনসার্টে নাচ এখন সব কিছু ই বন্ধ।। সিনেমা হল বন্ধ ছবি হচ্ছেনা, মিডিয়াতে হাহাকার, হচ্ছেনা কোন রাষ্ট্রিয় নৃত্যপ্রতিযোগিতা, বিভিন্ন উৎসবে নাচ থাকতো প্রধান আকর্ষণ সেসব ও বন্ধ, নাচের ক্লাস নেয়া হচ্ছেনা৷ লক ডাউনের দরুন নৃত্যপ্রতিযোগিতা বন্ধ তাই ডান্স ক্লাব সব ই আপাতত বন্ধ ৷ সবক্ষেত্রেই নাচের উপর বিশেষ করে গ্রাস করেছে করোনার থাবা। একে তো লকডাউন তার উপর সরকারের অনুমতি ব্যতীত কোন প্রোগ্রাম করা যাচ্ছে না ৷ মরার উপর খাড়ার ঘাঁ৷ আমাদের জীবন এখন থমকে গিয়েছে। উপক্রম হয়েছে অনাহারে মৃত্যুর।