একটি বড়ো রাজনৈতিক দলের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের জবাব জনগন ব্যালটে দেবে- জামায়াতের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি ।।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম বলেছেন জামায়াতের নির্বাচনী কর্মসূচিতে একটি দল বারবার হামলা করছে জামায়াতের মহিলা কর্মীদের নির্যাতন করছে তাদের এই জবাব জনগণ ব্যালটের মাধ্যমে দেবে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঈশ্বরদী উপজেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এক নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন জামায়াত ক্ষমতায় গেলে জামায়াত নেতৃবৃন্দ জনগণের সেবক হবে এবং সকল রকম দুর্নীতি চাঁদাবাজ টেন্ডারবাজ মুক্ত একটি বাংলাদেশ উপহার দিবে।
শুক্রবার (০৫ ডিসেম্বর) বিকেলে ঈশ্বরদী খাইরুজ্জামান বাবু বাস টার্মিনালে জামায়াত আয়োজিত অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডলের নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসী কার্যক্রম বাদ দিয়ে ভালো রাস্তা ধরুন। জনগণের চিন্তাভাবনা বুঝবার চেষ্টা করুন। নির্বাচনের প্রার্থীদের বহরে হামলা করা বন্ধ করুন। নারীদের কোরআনের পোগ্রামে হামলা বন্ধ করুন।
সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামী ছাত্রশিবির শিবির অবিস্মরণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। ৫ গুন ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছে। দেশের মানুষ মনে করে এবার নিরবে ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে দাঁড়িপাল্লা ক্ষমতায় যাবে।
রফিকুল ইসলাম খান বলেন, আমরা যদি ক্ষমতায় যাই তাহলে রাজা হবো না, সেবক হবো। যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। অতিতে যারা ক্ষমতায় ছিলেন রাষ্ট্রীয়ভাবে মিলকারখানা গড়ে তোলেনি। নিজেদের নামে করেছে। আমরা নতুন নতুন মিল কলকারখানা গড়ে তুলব। সবাইকে কর্মে পরিনত করব। নারীরা সবচেয়ে বেশি নিরাপদে থাকবে। দুর্নীতমুক্ত বাংলাদেশ গড়ব। বিশ্বের দরবারে ৫ বছরের মধ্যে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।
আগামী নির্বাচন কোনভাবেই বিলম্ব করা চলবে না। যথা সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হবে। দেশবাসী এখন নির্বাচনের ভোটের আগ্রহে রয়েছে। যারা গণভোট চায়নি তাদের দাবির প্রেক্ষিতে ভোট পেছাবে না। একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট নির্বাচনের দিন অনুষ্ঠিত করা হলে জনগণ তালগোল পাকিয়ে ফেলবে। জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট দিতে হবে।
ঈশ্বরদী এক নেতার নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, ওনি নাকি ধানের শীষের বাহিরে দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিলে জিহবা কেটে নিবেন, ইমাম-মুয়াজ্জিনকে চাকুরচ্যুত করবেন। তার কথার কোন দাম নেই, তার কথায় পাতাও নড়ে না। আবু তালেব মন্ডলকে বিজয় করার মাধ্যমে তাকে উচিত জবাব দেওয়া হবে।
প্রহসনের বিচার করে জুডিশিয়াল ক্লিংয়ের মাধ্যমে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে আমাদের শীর্ষ নেতাদের। জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করেছিল। আমরা কি দমে গিয়েছি? জামায়াত কোন হুঙ্কারের ভয় করে না। আল্লাহ ছাড়া জামায়াত কাউকে পরওয়া করে না বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ঈশ্বরদী উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক ডক্টর নুরুজ্জামান প্রামাণিকের সভাপতিত্বে জনসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পাবনা জেলা জামায়াতের আমির রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেট ও রোয়ার নির্বাচিত সদস্য এবং পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী আটঘরিয়া) জামায়াত মনোনীত জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল।
উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সাবেক ছাত্র নেতা সাইদুল ইসলামের পরিচালনায় অন্যান্যদের বক্তব্য রাখেন ইসলামী ছাত্রশিবি সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মনজুরুল ইসলাম,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নির্বাচিত ভিপি ইব্রাহিম হোসেন রনি, জামায়াতের কেন্দ্রীয় শুরা ও বগুড়া অঞ্চল সদস্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ও পাবনা -৫ সদর আসনের জামায়াত মনোনিত জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হাফেজ অধ্যক্ষ মাওলানা ইকবাল হুসাইন, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ও আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা জহুরুল ইসলাম, জেলা সেক্রেটারি সাবেক ছাত্র নেতা অধ্যাপক মাওলান আব্দুল গাফফার খান, জেলা তালিমুল কুরআন বিভাগের সেক্রেটারি ও ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী মাওলানা গোলাম রব্বানী খান জুবায়ের,ইসলামি ছাত্র শিবির পাবনা জেলা সভাপতি মুন্নাফ হোসেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঈশ্বরদী উপজেলা আমির মাওলানা মাহমুদুল হাসান, ঈশ্বরদী পৌর জামায়াতের আমীর ও ঈশ্বরদী পৌরসভার জামায়াত মনোনিত মেয়র প্রার্থী মাওলানা গোলাম আজম খান, স্থানীয় সাহাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক ছাত্র নেতা সগির বিন নাসির প্রমুখ।
প্রেরকঃ এস এম রাজা, ঈশ্বরদী, পাবনা।