ঋণ খেলাপির মামলা
ঈশ্বরদীর ৩৭ কৃষকের বাড়িতে তদন্ত কমিটি
———
ঈশ্বরদীর ৩৭ কৃষকের বাড়িতে তদন্ত কমিটি
পাবনার ঈশ্বরদীতে ৩৭ কৃষকের নামে ঋণ খেলাপির মামলায় গঠিত তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। সোমবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তদন্ত কমিটির তিন সদস্য কৃষকদের বাড়িতে যান।
সেখানে উপস্থিত তিন কৃষক আব্দুস সামাদ, মজনু প্রামাণিক ও আতিয়ার রহমানের সঙ্গে কথা বলেন তারা।
কারাভোগের শিকার কৃষক আব্দুস সামাদ বলেন, সব টাকা পরিশোধ করেছি। তারপরও কেন আমাকে তিনদিন কারাগারে থাকতে হলো। এর দায়ভার ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে। হয়রানির জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।
কৃষক আব্দুল হান্নান বলেন, ৪০ হাজার টাকা ঋণ উত্তোলন করে লভ্যাংশসহ পরিশোধ করেছি। তারপরও কারাগারে যেতে হয়েছে। এ জন্য ব্যাংক কর্মকর্তারা দায়ী। আমরা যদি ঋণ পরিশোধ না করে থাকি তবে কেন আমাদের বিরুদ্ধে উকিল নোটিশ পাঠানো হলো না।
ভাড়ইমারী উত্তরপাড়া সবজি চাষি সমবায় সমিতির সভাপতি বিলকিস নাহার জানান, ব্যাংকের মাঠকর্মীরা এখানে এসে কৃষকের নিকট থেকে কিস্তি গ্রহণ করেছেন। এ কিস্তির টাকা মাঠ কর্মীরা ব্যাংকে জমা দিয়েছেন কিনা আমি জানি না। এ ব্যাংক আমার বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির একটি মামলা করেছে ইতিপূর্বে। সেই মামলায় নিয়মিত হাজিরা দিয়ে আসছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মহির মণ্ডল জানান, ৩৭ জন কৃষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং ১২ জন কৃষকদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এ মামলার বিষয়ে কোনো কৃষক আগে জানতো না। ঋণ পরিশোধের কৃষকদের কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি।
তদন্ত কমিটির প্রধান ও সমবায় ব্যাংকের ডিজিএম (পরিদর্শন) আহসানুল গণি বলেন, ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা রয়েছে। আমরা এ বিষয়ে গণমাধ্যমে কাছে কোনো বক্তব্য দিতে পারবো না।
এর আগে ২৫ নভেম্বর ১২ কৃষককে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। বিষয়টি গণমাধ্যমে আসার পর ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। পরে ২৭ নভেম্বর পাবনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক শামসুজ্জামান গ্রেফতার ১২ কৃষকসহ ৩৭ জন কৃষকের জামিন মঞ্জুর করেন।