ঈশ্বরদীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে প্রতিদিন বাড়ছে পদ্মার পানি
ঈশ্বরদী উপজেলা সংবাদ দাতা।। সাম্প্রতিক এক টানা ভারী বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে ঈশ্বরদীর পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে হু হু করে বেড়ে চলেছে পদ্মার পানি।
সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করে এবং রেলওয়ের ব্রীজ ইন্জিনিয়ার এর কার্যালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র থেকে পদ্মায় পানি বৃদ্ধির সত্যতা মিলেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের হিসাব অনুযায়ী ১৩ আগস্ট’২৫ পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানির উচ্চতা পরিমাপ করা হয়েছে ১২ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার। ১৩ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার উচ্চতা হলে অর্থাৎ আর ১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেলে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করবে পদ্মার পানি।
পদ্মায় পানি বৃদ্ধির কারণে নদী তীরবর্তী এলাকা সমুহ ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি হলে নদী রক্ষা বাঁধ উপচে পড়ে ঈশ্বরদী উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের আরামবাড়ীয়া, মাইজদিয়া , ইসলাম পাড়া, ধাপাড়ী, পাকশী ইউনিয়নের রূপপুর নলগারী, লক্ষিকুন্ডা ইউনিয়নের নবীনগর, দাদাপুর, কামালপুসহ নদী তীরবর্তী গ্রাম গুলোতে পানি প্রবেশের আশংকা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে পানিতে তলিয়ে গেছে নদী তীরবর্তী ফসলি জমি।
ঈশ্বরদী উপজেলার লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নের শত শত একর জমির কলাবাগানে পানি প্রবেশ করে তলিয়ে গেছে। নষ্ট হতে শুরু করেছে শাক সবজিসহ অন্যান্য ফসল। এছাড়াও চরাঞ্চল পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় গোখাদ্যের চরম সঙ্কট দেখা দিয়েছে। চরের কৃষকরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে গবাদিপশু নিয়ে ।নিতান্তই বাধ্য হয়ে বাতান ভেঙে কৃষকরা গবাদিপশু নিয়ে নদী পাড়ের ডাঙায় আশ্রয় নিচ্ছেন।
ওদিকে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের ১৫ টি স্পেন এর মধ্যে ১৪টি ইতিমধ্যেই পানির নিচে তলিয়ে গেছে। আরেকটি স্পেন এর কাছে পানি উঠতে শুরু করেছে। আজ রাতের মধ্যে ১৫ নম্বর স্পেন এর নিকট পানি পৌঁছে যাবে যদি পানি বৃদ্ধির গতি অব্যাহত থাকে। এখানকার টি স্টল, খাবারের দোকান, ফলমূল ও খেলনার দোকানপাটে পানি উঠার কারনে দোকানগুলো সরিয়ে নিয়ে নিরাপদ স্হানে চলে গেছেন ব্যবসায়ীরা।
আবুল কালাম আজাদ সাঈদ নামে নদী সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা জানান, মাস দুয়েক পূর্বে এসেছিলাম তখন নদীতে সামান্য পানি দেখেছিলাম।নদী ছিল সরু। বেশীরভাগ নদীজুড়ে ছিল চর।এখন দেখছি পুরো নদীতে পানি ভরা।
এদিকে পদ্মার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করলে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ।
প্রেরকঃ এস এম রাজা, ঈশ্বরদী, পাবনা।