ঈশ্বরদীর প্রধান ৩টি সড়ক ভেঙে হয়েছে বড় বড় গর্ত।। প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা, দেখার কেউ নেই!!!
———–
এস এম রাজা।। ঈশ্বরদীর ৩টি গুরুত্বপূর্ণ প্রধান সড়ক ভেঙে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। এই কারণে প্রায়ই ঘটছে দূর্ঘটনা। আহত হচ্ছে শত শত মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ছোট বড় যানবাহন। রাস্তাগুলো যেন বেওয়ারিশ, দেখার কেউ নেই। ভেঙেচুরে ছোট বড় অসংখ্য গর্ত সৃষ্টি হওয়া চলাচলের অযোগ্য এই রাস্তাগুলো হলো ঈশ্বরদী ইপিজেড রোড, ঈশ্বরদী-কুষ্টিয়া রোড এবং কলেজ রোড।
ঈশ্বরদী থেকে প্রতিদিন ইপিজেড রোডে হাজার হাজার ব্যাপজা’র বিভিন্ন কোম্পানির নারী-পুরুষ শ্রমিক এই রোডে চলাচল করে। ঈশ্বরদী পৌরসভার নিয়ন্ত্রণাধীন এই রাস্তাটি কতো বছর আগে সংস্কার করা হয়েছে তা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাই জানেন না।
অন্যদিকে, ঈশ্বরদী থেকে কুষ্টিয়াগামী সড়কের আলহাজ্ব মোড় থেকে রূপপুর প্রকল্পের আবাসিক এলাকা দিয়ার সাহাপুর নতুনহাট মোড় পর্যন্ত সড়কটি ভেঙেচুরে অসংখ্য ছোটবড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল ভীষণ কষ্টসাধ্য ও ঝু্ঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের আবাসিক এলাকা গ্রীণ সিটিতে বসবাসকারী হাজার হাজার রাশিয়ান নাগরিকসহ ঈশ্বরদী উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌর সভার অসংখ্য মানুষ প্রতিদিন এই সড়ক পথে যাতায়াত করে থাকেন। রাস্তার এই বেহাল অবস্থার কারণে প্রায়ই ঘটে দূর্ঘটনা।
অন্যদিকে, ঈশ্বরদী পৌর সভার নিয়ন্ত্রণাধীন ঠাকুরবাড়ি থেকে অরণকোলা বটতলা মোড় পর্যন্ত সড়কটিও ভেঙেচুরে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। উত্তরবঙ্গের বৃহৎ গরুর হাট অরণকোলা হাটে এই সড়ক দিয়েই দূরদূরান্তের ক্রেতা বিক্রেতা আসা যাওয়া করে। বড় বড় অবৈধ ড্রাম ট্রাক সহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন মাত্রাতিরিক্ত মালামাল বোঝাই করে বেপরোয়া ভাবে দিনরাত এই সকল সড়ক দিয়ে দাপিয়ে বেড়ানোর কারণে এবং রাস্তা গুলো মেরামত ত্রুটিপূর্ণ হওয়ার কারণে খুব দ্রুতই এই সমস্ত রাস্তা গুলো ভেঙেচুরে গর্ত হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে।
গত ১মাসে চলাচলের অযোগ্য এই সড়কগুলোতে ছোটবড় প্রায় ২০টিরও অধিক দূর্ঘটনা ঘটেছে। এতে এই সময়ের মধ্যে প্রাণ হানী না ঘটলেও অন্তত নারী পুরুষ মিলে আহত হয়েছে ৫ শতাধিক।
বিকল্প কোন রাস্তা না থাকায় দূর্ঘটনার আশংকা থাকা সত্ত্বেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই পথেই প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করছে। এরপরেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের টনক নড়ছে না।
ঈশ্বরদী পৌর সভার নিয়ন্ত্রণাধীন ঈশ্বরদী ইপিজেড রোডের রেলগেট থেকে তালতলা পর্যন্ত, ঈশ্বরদী-কুষ্টিয়া সড়কের আলহাজ্ব মোড় থেকে ভেলুপাড়া ব্রিজ পর্যন্ত এবং কলেজ রোডের ঠাকুরবাড়ি থেকে অরণকোলা মোড় পর্যন্ত সংস্কারের বিষয়টি আগামী অর্থবছরে যাতে সংস্কার করা যায় সে ব্যাপারে বাজেট চেয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে পৌরসভার দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, ঈশ্বরদী-কুষ্টিয়া সড়কের নতুন হাট মোড় পর্যন্ত সড়ক ও জনপথের নিয়ন্ত্রণাধীন বিধায় তারা এ ব্যাপারে কি চিন্তা ভাবনা করছেন বা পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাচ্ছেন তা জানা সম্ভব হয়নি।
অবিলম্বে চলাচলের অযোগ্য ঈশ্বরদীর প্রধান এই ৩টি সড়ক সংস্কার করে এসব পথে চলাচলকারী হাজার হাজার ভুক্তভোগী মানুষের দুর্ভোগ লাঘব করার জোর ভূমিকা গ্রহণ করবেন বলে অভিজ্ঞমহল মনে করেন।