ঈশ্বরদীর গ্রীণসিটি আবাসিক ভবনের আসবাবপত্র ক্রয়ে ভয়াবহ দুর্নীতি, চাকরি হারালো ১ জন আরেকজনের পদাবনতি
ঈশ্বরদী(পাবনা) প্রতিনিধি।। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আমলে ঈশ্বরদীর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের আবাসিক ভবন গ্রীণসিটির আসবাবপত্র ক্রয়ে ভয়াবহ দুর্নীতি ও অনিয়মের ঘটনায় গণপূর্ত অধিদফতরের সহকারী প্রকৌশলী মো. রফিকুজ্জামানকে চাকরি থেকে অপসারণ এবং তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এ. কে. এম. জিল্লুর রহমানকে নিম্নপদে অবনমিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০১৯ সালে রূপপুর গ্রীণসিটি প্রকল্পের ২০ ও ১৬ তলা ভবনের আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয়ে অস্বাভাবিক ব্যয় এবং পিপিআর ব্যতীত দরপত্রের পূর্বেই মালামাল গ্রহণের প্রমাণ মেলে।তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে রফিকুজ্জামানের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা ও অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে। একই অনিয়মে জড়িত থেকে দায়িত্বে অবহেলার দায়ে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এ. কে. এম. জিল্লুর রহমানকে নিম্নপদে অবনমিত করা হয়েছে। মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পৃথক আদেশে শাস্তি কার্যকর করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে প্রকল্পের আবাসিক ভবনের জন্য প্রায় ১৬৯ কোটি টাকার আসবাবপত্র ক্রয়ে অস্বাভাবিক ব্যয়ের বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। অভিযোগ ওঠে, ৩০ কোটি টাকার নিচে কাজ দেখিয়ে অনুমোদন এড়িয়ে ক্রয় প্রক্রিয়ায় নানা অনিয়ম করা হয়। একেকটি বালিশের দাম দেখানো হয় ৫,৯৫৭ টাকা এবং খাটে তুলতে মজুরি ৭৬০ টাকা। কমফোর্টার কেনা হয় ১৬,৮০০ টাকায়, খাটে তুলতে ব্যয় দেখানো হয় ২,১৪৭ টাকা। এ ছাড়া বিছানার চাদরের দাম ধরা হয় ৫,৯৩৬ টাকা এবং প্রতিটি চাদর খাটে তুলতে খরচ দেখানো হয় ৯৩১ টাকা।