ঈশ্বরদীতে বিএনপি নেতা বিরুমোল্লা হত্যায় ব্যবহৃত দুটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৩১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার, আসামী ২ দিনের রিমান্ডে
ঈশ্বরদী (পাবনা)প্রতিনিধি।। ঈশ্বরদীর লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক বিরু মোল্লা হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৩১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর’২৫) দিবাগত রাত সাড়ে ৯টায় অভিযান চালিয়ে লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের জহুরুল মোল্লার নিজ ইট ভাটা থেকে উদ্ধার করা হয়।
ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমার জানান, পারিবারিক কলহ ও জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গত ১৭ ডিসেম্বর লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের দক্ষিণ মোল্লাপাড়ায় প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত হন বিএনপি নেতা বিরু মোল্লা। এ ঘটনায় নিহতের চাচাতো ভাই জহুরুল মোল্লাকে প্রধান আসামি করে ১৮ ডিসেম্বর ঈশ্বরদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
এরপর, সিপিসি-২ ও র্যাব-১২ (পাবনা)’র সহায়তায় মামলার প্রধান আসামি জহুরুল মোল্লাকে সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানাধীন রঘুনাথপুর এলাকা থেকে রবিবার দিবাগত গভীর রাতে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে আসামির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের সাহাপাড়া মৌজায় তার নিজস্ব ৩ নম্বর ইটভাটার পশ্চিম প্রান্তে অভিযান চালানো হয়। সেখানে টিন দিয়ে ঘেরা একটি অস্থায়ী টয়লেটের পেছন থেকে মাটির নিচে পুঁতে রাখা একটি পুরোনো কাপড়ের বাজারের ব্যাগের ভেতর থেকে একটি ওয়ান শুটারগান, একটি বিদেশি রিভলবার, ৫ রাউন্ড শর্টগানের গুলি এবং ২৬ রাউন্ড রিভলবারের গুলি উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে মঙ্গলবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয় এবং ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এদিকে জহুরুল মোল্লা গং এর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা ছাড়াও অস্ত্র মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পাবনা পুলিশ সুপার আনোয়ার জাহিদ এর দিক নির্দেশনা ও ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমার এর তত্বাবধানে এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মমিনুজ্জান।
উল্লেখ্য, নিহত বিরু মোল্লার মালিকানা দাবীকৃত জমি থেকে জহুরুল মোল্লা জোর করে ইটভাটার জন্য মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিরোধের জেরে গত ১৭ ডিসেম্বর সকালে বিএনপি নেতা বিরু মোল্লাকে গুলি করে হত্যা করে জহুরুল মোল্লা গং। এঘটনায় পুরো এলাকায় চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
প্রেরকঃ এস এম রাজা, ঈশ্বরদী, পাবনা।