পৌনে ২ কোটি টাকা আত্মসাৎ
ব্যবসায়ীসহ চার ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
ব্যবসায়ীসহ চার ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা ব্যবসায়ী ইমরুল কায়েস, মোশতাক আহমেদ
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার ব্যবসায়ী ইমরুল কায়েস ও সাউথ ইস্ট ব্যাংক লিমিটেড ঈশ্বরদী শাখার ব্যবস্থাপক মোশতাক আহমেদসহ (৪২) ব্যাংকের চার কর্মকর্তাকে আসামি করে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এক কোটি ৮৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
সোমবার (১৯ জুন) দুর্নীতি দমন কমিশনের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাধন কুমার সূত্রধর বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
ইমরুল কায়েস ঈশ্বরদী উপজেলার বিমানবন্দর সড়ক এলাকার রহিমপুর গ্রামের মহিত বিশ্বাসের ছেলে এবং মেসার্স কায়েস এন্টারপ্রাইজের মালিক। অন্যদিকে, মোশতাক আহমেদ রাজশাহীর তেরখাদিয়া পশ্চিমপাড়া এলাকার ফারুক আহমেদের ছেলে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন সাউথ ইস্ট ব্যাংক লিমিটেড ঈশ্বরদী শাখার অপারেশন্স ম্যানেজার ও ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ভালুকা গ্রামের আজিমুদ্দিন শেখের ছেলে নজরুল ইসলাম (৫৩), ব্যাংকের জুনিয়র অফিসার বগুড়ার গাবতলী উপজেলার তরফ সরতাজ গ্রামের নায়েব আলীর ছেলে শামীম আহমেদ (৩৫) এবং ব্যাংকের ট্রেইনি ক্যাশ অফিসার রাজশাহীর পবা উপজেলার কালুম গ্রামের মো. আব্দুল হাকিমের ছেলে ইমরান (৩০)।
দুদক ও এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল অভিযুক্তরা কোনো প্রকার নগদ টাকা গ্রহণ না করেই চার কিস্তিতে ব্যবসায়ী ইমরুল কায়েসকে ৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকার পে-অর্ডার দেন। দীর্ঘদিন পর ইমরুল কায়েস এক কোটি ৩৫ লাখ টাকা জমা দেন। এরপরে আর কোনো টাকা না দিয়েই ইমরুল ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর ভারতে চলে যান। পরে ব্যাংক বিভিন্নভাবে আরও ৩৮ লাখ ২৫ হাজার ৩২৮ টাকা আদায় করে।
সূত্র আরও জানায়, দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে পে-অর্ডার দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংক কর্মকর্তারা ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন বলে প্রমাণ পায় দুদক। এছাড়া ব্যবসায়ী ইমরুল কায়েসের পে-অর্ডার নিয়ে ভাঙিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগও প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওই পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদক মামলা করে।
দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক খায়রুল হক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের গ্রেফতার এবং আরও জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে মামলার চার্জশিট দেওয়া হবে।