ঈশ্বরদীতে পরিকল্পিত ভাবে গাড়ি চালককে হত্যা, ১ মহিলা আসামি গ্রেফতার
—————–
ঈশ্বরদী (পাবনা) উপজেলা সংবাদদাতা || ঈশ্বরদী পৌর এলাকার মধ্য অরণকোলা আলহাজ্ব ক্যাম্পের স্থায়ী বাসিন্দা ও রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিকিমথ’র গাড়ি চালক সম্রাট খান (২৫) কে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। সে উল্লেখিত এলাকার আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে অফিসে যাওয়ার কথা বলে প্রাডো গাড়ি নিয়ে সম্রাট বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায়। এরপর আর সে ফিরে আসেনি। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে পরিবারের লোকজন বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারে যে, সম্রাট তারই সহকর্মী ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের বাঁশেরবাদা গ্রামের আব্দুল মোমিনের বাড়িতে গিয়েছিল।
বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে তারা গতকাল রাতে মোমিনের বাড়িতে অভিযান চালায় এবং তার স্ত্রী সিমা খাতুনকে গ্রেফতার করে। সিমাকে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সম্রাটকে হত্যা করার কথা স্বীকার করে। সে জানায়, সম্রাটের লাশ বস্তাবন্দি করে প্রাডো গাড়িতে তুলে মোমিন নিয়ে চলে গেছে। কিন্তু কোথায় গেছে সেটা বলতে পারে না।
আজ ২৫ মার্চ’২৩ সকালে সংবাদ পেয়ে পাবনার শিলাইদহ ঘাট এলাকায় গাড়ির মধ্য থেকে পুলিশ সম্রাটের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে।
একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, সম্রাটের সাথে মোমিনের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। সম্রাট-ই মোমিনকে বদলি গাড়ি চালক হিসেবে চাকরি দিয়েছিলো। সেই সুবাদে উভয়ের মধ্যে গভীর সম্পর্কের সৃষ্টি হয়। তারা একে অপরের বাড়িতে প্রায়ই আসা যাওয়া করতো। এলাকার অনেকেই বিষয়টিকে পরকীয়ার জের হিসেবে সন্দেহ করছেন। ঐ এলাকার অন্য একটি সূত্র জানিয়েছেন, শুধু পরকীয়া নয় এই হত্যাকান্ডের সাথে আর্থিক বিষয়ও জড়িত থাকতে পারে।
এ ব্যাপারে ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ অরবিন্দ সরকারকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, গাড়ি চালক সম্রাট খানের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মোমিনের স্ত্রী সিমা খাতুনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। হত্যাকান্ডের কারণ সম্পর্কে এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি। মামলা দায়ের ও ময়নাতদন্তের পর সম্রাটের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
প্রেরকঃ এস এম রাজা
ঈশ্বরদী, পাবনা।