ঈশ্বরদীতে জোর পূর্বক বাঁশ কাটতে বাঁধা দেয়ায় সন্ত্রাসী হামলা, ৬ মহিলা সহ আহত-৯
————–
ঈশ্বরদী (পাবনা) উপজেলা সংবাদদাতা।। ঈশ্বরদীর প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলে জোর পূর্বক বাঁশ কাটতে বাঁধা দেয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় ৬ নারী সহ ৯ জন আহত হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে আজ আনুমানিক বিকেল ৪ টায় ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের বাবুলচরা গ্রামে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, উল্লেখিত এলাকার মৃত জফির উদ্দিন প্রামাণিকের ছেলে মিন্টু প্রামানিক ও মিন্টু প্রামাণিকের ছেলে সুমন প্রামাণিক সহ সঙ্ঘবদ্ধ দূর্বৃত্তরা রিপন প্রামাণিকের বাঁশ বাগান থেকে জোর পূর্বক মূূল্যবান বাঁশ কেটে নিতে থাকে।
এসময় রিপন প্রামাণিক সহ ওই পরিবারের সমস্ত পুরুষ মানুষরা এলাকার বাহিরে পেশাগত কারণে অবস্থান করায় রিপনের স্ত্রী রোজিনা (৩৫) সহ অন্যান্যরা তাদের বাঁশ কাটা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করলে দূর্বৃত্তরা কোন প্রকার কর্ণপাত না করে বাঁশ কাটতে থাকে।
এক পর্যায়ে রোজিনা বাঁধা দিলে মিন্টু গং সম্মিলিত ভাবে রোজিনাকে অশ্লীল গালাগালি সহ লোহার রড ও লাঠিসোটা দিয়ে মারধর করতে থাকে।
এসময় ঠেকাতে গিয়ে মিন্টু গং-এর হাতে নির্বিচারে আরও মারধরের শিকার হয় মঈনুলের স্ত্রী আলো (৪০), আজিবরের স্ত্রী জাহানারা (৫০), আকাতুল্লাহর স্ত্রী রঞ্জনা (৪০), রমজানের স্ত্রী সাথী (২৬), জামরুলের স্ত্রী তাসলি (৩২) সহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩ জন।
এদের মধ্যে গুরুতর আহত রোজিনা, আলো ও জাহানারাকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে অন্যান্যদের।
এব্যাপারে ঈশ্বরদী থানায় রোজিনা খাতুন বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। উক্ত ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। অভিযোগ প্রাপ্তির পর বিষয়টি অবহিত হয়ে ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ অরবিন্দ সরকার দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ প্রেরণ করেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এবং বিষয়টি তদন্ত পূর্বক খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে দায়িত্ব প্রাপ্ত পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন।