ঈশ্বরদীতে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যা
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি৷। ঈশ্বরদীর লক্ষ্মিকুন্ডা ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বিরু মোল্লা (৪৮) নামের এক স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা নিহত হয়েছেন।
মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটেছে আজ বুধবার ১৭ ডিসেম্বর’২৫ সকালে লক্ষ্মিকুন্ডার কামালপুর গ্রামে। সে ঐ গ্রামের আবুল মোল্লার ছেলে এবং লক্ষ্মিকুন্ডা ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক।
এলাকাবাসি ও থানা সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর’২৫) নিহত বিরু মোল্লার আপন চাচাতো ভাই মৃত ইসলাম মোল্লার ছেলে জহুরুল মোল্লা বিরু মোল্লার মালিকানা দাবিকৃত জমি থেকে ইটভাটায় ব্যবহারের জন্য মাটি কেটে নিয়ে যায়। এই জমিটি নিয়ে উভয়ে মালিকানা দাবি করার কারণে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছে। সাম্প্রতিককালে এ নিয়ে দ্বন্দ্ব প্রকট আকার ধারণ করে।
আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর’২৫) সকালে বিরু মোল্লা লোকজন নিয়ে জহুরুল মোল্লার বাড়িতে যায় এবং কেন মাটি কাটা হয়েছে এপ্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করার এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি, বাকবিতন্ডা ও চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
এসময় বিরু মোল্লার লোকজন ইটপাটকেল ছুঁড়লে জহুরুল মোল্লা ও তার ছেলে ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে বিরু মোল্লাসহ তার লোকজনকে সরে যেতে বলেন। কিন্তু বিরু মোল্লার লোকজন সরে না গিয়ে মারমুখী আচরণে অনড় থাকে। পরিস্থিতি ভয়াবহ পর্যায়ে গেলে বিরু মোল্লাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হয়। এসময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে বিরু মোল্লা ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমার সরকার ও ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মমিনুজ্জামানকে জিজ্ঞাসা করা হলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তারা বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে বিরু মোল্লা নিহত হয়েছেন। নিহত বিরু মোল্লার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে এবং আইনী ব্যবস্থা গ্রহণে যথাযথ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। আকষ্মিক এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হওয়ার পর এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছেন।
উল্লেখ্য, নিহত বিরু মোল্লা এবং ঘাতক জহুরুল মোল্লা উভয়ই বিএনপি রাজনীতির সাথে জড়িত এবং তারা দুজনেই বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও পাবনা জেলা বিএনপির আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিবের ঘনিষ্ঠ সহচর ও সমর্থক বলে উভয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
প্রেরকঃ এস এম রাজা
ঈশ্বরদী, পাবনা।