ঈশ্বরদীতে এক নারীর বিরুদ্ধে মাদক, দেহ ব্যাবসা ও জিম্মি করে টাকা আদায়ের অভিযোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত
স্টাফ রিপোর্টার।। পাবনার ঈশ্বরদীতে মোছাঃ রেখা খাতুন (৪৫) নামের এক নারীর বিরুদ্ধে মাদক, জিম্মি ও দেহ ব্যবসার অভিযোগে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছে। বুধবার ১ জানুয়ারি দুপুরে উপজেলার ছলিমপুর ইউনিয়নের বড়ইচরা এলাকায় এ মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধনে বড়ইচরা গ্রামের শত শত নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে এলাকাবাসী বলেন, রেখা খাতুন বাড়িতে পরপুরুষ নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ করে, মাদক ব্যবসা করে, বিভিন্ন মানুষকে জিম্মি করে ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করে। এতে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। তার অসামাজিক কার্যকলাপের কারনে এলাকায় বসবাস করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আশেপাশের ৫ গ্রামের সকলেই জানে রেখা কেমন মহিলা, কিন্তু তার বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতে পারে না।
সে মিথ্যা মামলা ও প্রভাবশালীদের ভয় দেখিয়ে প্রতিনিয়ত অসামাজিক কার্যকলাপ করে যাচ্ছে। তাই এর থেকে প্রতিকার পাওয়ার লক্ষ্যে আমরা সকলে সমবেত হয়ে এ মানববন্ধনের আয়োজন করেছি।
তারা আরও বলেন, আমরা প্রশাসন ও সাংবাদিক ভাইদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই এলাকার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার জন্য অনতিবিলম্বে রেখা খাতুনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে আমাদের এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিন।
এবিষয়ে অভিযুক্ত রেখা খাতুন বলেন, আমার ছেলে হৃদয় রূপপুর পারমাণবিকে চাকরি করে, সেকারনে হীরক ও প্রতিক আমার কাছ থেকে চাঁদা দাবি করলে আমি হীরকের বাবা তরিকুলকে ডেকে চাঁদার কথা জানাই। তখন তরিকুল আমাকে বলে হীরক তো আমার কথা শুনে না, ওরা তো খুব খারাপ ওদেরতো টাকা দিতে হবে, আচ্ছা আমি একটা ব্যবস্থা করছি।
তখন তরিকুল নজরুল নামের একব্যক্তিকে আমার বাড়িতে মেয়েমানুষসহ অসামাজিক কাজে লিপ্ত অবস্থায় আটকিয়ে টাকা আদায়ের বুদ্ধি দেয়। আমি প্রথমে রাজি না হলেও পরে আমার ছেলেকে বাচানোর জন্য রাজি হই। পরে তরিকুল ঐ লোকের থেকে ৬০ হাজার টাকা নিয়ে আমাকে ২০ হাজার টাকা দিলে আমি টাকাটা হীরকের বউয়ের কাছে দিয়ে আসি।
এরপর পাশের বাড়ির বাশ আমার বাড়ির ছাদে উপর পড়ে বলে অভিযোগ দিলে সে বলে বাশ কেটে দেন এবং আমার ছেলে বাশ কেটে দেয়। একারনে হীরক ও প্রতীক এসে অভিযোগ তুলে তরিকুল নাকি প্রতিদিন আমাদের বাড়িতে আসে এবং আমার ছেলেকে মারধর করে। তাতেও তাদের খায়েশ না মিটলে আজকে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মানববন্ধন করেছে।
হীরক রেখা খাতুনের থেকে টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, আমার বাবা সরল মনে ওদের সাথে মিশতো। কিন্তু ওরাতো এসব বাজে কর্ম করেই চলে, ওরাতো মিথ্যা অভিযোগ করবেই।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি আমার জানা নাই।