পবিত্র ঈদ উল আযহা উদযাপিত হবে আগামী ২১ জুলাই। এই অবস্থায় সরকারি ভাবে ঘোষিত চলমান কঠোর বিধিনিষেধের (লকডাউন) মেয়াদ আগামী বুধবার শেষ হচ্ছে। এরপর ঈদের সময়টায় বিধিনিষেধ শিথিল করা হচ্ছে কি না, সেটি পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আজ সোমবার না হলে আগামীকাল মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারেও বলে জানা গেছে।
গতকাল রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান। প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনার যে সংক্রমণ পরিস্থিতি, সেটি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। বিধিনিষেধ বাস্তবায়নের দিকেই সরকার বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। সংক্রমণ এবার এমনভাবে ছড়িয়েছে, সেটা খুবই আশঙ্কাজনক। আগামী (১৪ জুলাইয়ের) পরের সময়ও আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি আমরা এ সংক্রমণ কমাতে চাই, তাহলে এ প্রক্রিয়া কিন্তু অব্যাহত রাখতে হবে বিভিন্ন পর্যায়ে। যেহেতু ঈদ এবং কোরবানির হাট আছে। এ দুটিকে কীভাবে করলে সংক্রমণটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারব, সেটিই আমাদের মূল লক্ষ্য। সরকারের পক্ষ থেকে হাটগুলোকে কত সুনিয়ন্ত্রিতভাবে করতে পারি সে ধরনের পরামর্শ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, হাটগুলো যাতে নিরাপদ জায়গাতে হয়, খোলা জায়গায়, যেখানে তিনটি গেট থাকতে পারে। একটি দিয়ে ক্রেতারা ঢুকবেন, তারা পশু কিনে নিয়ে আসবেন। আরেকটি দিয়ে পশু ঢোকানো হবে। হাটে যাতে নির্দিষ্ট সংখ্যক ক্রেতা ঢোকে এবং স্বাস্থ্যবিধি তারা মেনে চলে। অবশ্যই হাটে এলে একা বা বেশি সংখ্যক না এসে সঙ্গে কজন যাতে থাকে। সংক্রমণ এবং মৃত্যু, সেটি মাথায় রেখেই হাটে আসতে হবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, অতিরিক্ত মানুষ যাতে না ঢোকে সেটি নিয়ন্ত্রণ করা এবং দ্রæত যাতে বেরিয়ে যেতে পারে, সে ব্যবস্থা রাখা। তবে এর ওপর আমরা চাইছি যে, গতবার যেহেতু ২৫ শতাংশ সাকসেসফুল করেছি ডিজিটাল হাটকে… অনলাইনের যে হাটগুলো, সেগুলো যাতে আরও জনপ্রিয় করা যায়, সেটি আমাদের এবার আরও জোর দিচ্ছি।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২১ জুলাই পবিত্র ঈদ উল আযহা উদযাপিত হবে। ঈদের তারিখ নির্ধারণে গতকাল জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি সভায় জানিয়েছে। তবে ঈদ ২১ জুলাই ধরে সরকারি ছুটি ২০-২২ জুলাই মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার তিন দিন ধরা হয়েছে। এই হিসেবে সরকারি ছুটি থাকবে পাঁচ দিন। আর সেই ছুটিতে কর্মস্থল ত্যাগ করা যাবে কি না, সেটি নিয়েও আলোচনা চলছে। সরকারের নীতি নির্ধারনী পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে যায় চলতি কঠোর বিধি নিষেধ দিয়ে ঈদের সময়টায় সবকিছু শিথিল করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। যাতে ব্যবসায়ী, গণপরিবহন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা অন্যান্য পেশার মানুষ আনন্দে উৎসব করতে পারেন।