৩০ বছরের উপরে বয়সীদের টিকা গ্রহণের জন্য নিবন্ধন উন্মুক্ত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গতকাল সোমবার থেকেই ‘সুরক্ষা’ ওয়েবসাইটে ৩০ বছর বয়স বা তার বেশি বয়সীদের নিবন্ধন নেয়া হচ্ছে। পবিত্র ঈদুল ফিতরের তাদেরকে টিকা প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এর আগে করোনাভাইরাসের প্রতিশেধক টিকা পাপ্তির বয়স ৩০ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। তিনি বলেন, ঈদের পর থেকে ৩০ বছর বয়সের উপরের সবাই টিকা পাবেন। অর্থাৎ বর্তমান বয়সসীমা ৩৫ থেকে কমিয়ে ৩০ এর নামিয়ে আনা হবে। তবে জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) ছাড়া কেউ টিকা নিতে পাবনে না। এরপরই গতকাল বিকেল থেকেই ৩০ বছর বয়সীদের নিবন্ধন নেয়া শুরু হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান, গত রোববার প্রাধনমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় টিকা দানের ন্যূনতম বয়স ৩৫ থেকে কমিয়ে ৩০ বছরে নামানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে টিকা পেতে অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র থাকতে হবে। এ বিষয়ে সোমবার অধিদপ্তরে আরেকটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় সম্পর্কে কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হয়। ঈদের পরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বা বিজ্ঞপ্তি আকারে এ সংক্রান্ত তথ্য সবাইকে জানানো হবে।
তিনি বলেন, বিদেশীদের টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই বিডার মাধ্যমে আসতে হবে। প্রবাসী শ্রমিকদের ক্ষেত্রে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় থেকে অনুমতি নিতে হবে।
প্রসঙ্গত, গত ফেব্রয়ারি মাসে দেশে প্রথম গণটিকা কার্যক্রম শুরু করা হয়। টিকা পেতে সুরক্ষা এ্যাপে নিবন্ধন করতে হতো। তখন টিকা পাওয়ার ন্যূনতম বয়সসীমা নির্ধারণকরা হয় ৪০ বছর। এরপর টিকা সংকটে কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়। প্রাপ্তি স্বাপেক্ষে চলতি মাসের শুরুতে আবারো গণটিকা কার্যক্রম শুরু করে সরকার। ওইসময় টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৪০ থেকে নামিয়ে ৩৫ বছরে আনা হয়।